জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ও টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২জনকে আটক সহ ৮জন নিকট হতে জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬শে ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলার সারী-৩ লালাখাল এলাকায় অভিযান পরিচারনা করেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মিজ ফারজানা আক্তার লাবনী।
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলনের সময় ছয়টি নৌকা ধ্বংস করে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ধারা ১৫ এ দুইজনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার গর্দ্দনা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৩৪) ও একই গ্রামের কয়সর আহমেদ (২৮)।
দুপুর ২টায় সহকারী কমিশনার (ভুমি)র নেতৃত্বে উপজেলার ৪নম্বর বাংলা বাজার ও আসামপাড়া গ্রামে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।
আসামপাড়া গ্রামের বিভিন্ন বালু মহাল হতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু পাথর উত্তোলনের করায় ও স্তুপ করে রাখা ২০ ট্রাক বালু ও পাথর জব্দ করা হয়। অপরদিকে পরিবেশ দূষণ করে ক্রাশার মিল চালানোর দায়ে দুইটি ক্রাশার মিলকে আর্থিক জরিমানা আদায় ও একটি মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে ক্রাশার মিল ও বালু পাথরের সাথে জড়িত থাকায় অন্তত ৮জন ব্যাক্তির নিকট হতে জরিমানা আদায় করে মুছলেখার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে আরও ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক বদরুল হদা, জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)র লালাখাল বিওপির সদস্য সহ জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মিজ ফারজানা আক্তার লাবনী জানান, অভিযান করে ২জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৮জনকে জরিমানা আদায়ের মুছলেখার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযান চরমান থাকবে।