জৈন্তাপুর ইরিবোরো বীজতলা তৈরীতে কৃষকের ব্যস্ততা চলতি মৌসুমে ৫৬৫০ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।
চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে জৈন্তাপুর উপজেলায় ইরিবোরো ধান আবাদের লক্ষ্যে বীজতলা প্রস্তুত করতে ব্যবস্ততম সময় পার করছে উপজেলার কৃষককেরা। চলতি ২০২৪ মৌসুমে উপজেলার আমন ধান সংগ্রহ শেষে উপজেলার সেচ সুবিধা প্রাপ্ত জমিগুলোতে ইরিবোরো ধান চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জনানো হয়, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে পুরো উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৫ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর আবাদী জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিজপাট ইউনিয়নে ৫৫০ হেক্টর, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে ১১৩০ হেক্টর, চারিকাঠা ইউনিয়নে ৪২১ হেক্টর, দরবস্ত ইউনিয়নে ১২১০ হেক্টর, ফতেহপুর ইউনিয়নে ১২৬০ হেক্টর ও চিকনাগোল ইউনিয়নে ১০৮০ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আরো জানানো হয়েছে চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ৩০০ জন কৃষক ইরিবোরো ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ইরিবোরো ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ প্রায় ৯০% শেষের পথে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৩০ জন কৃষককে প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ৩ হাজার ৪০০ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় সার,বীজ ও কিটনাশক বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আরো ২৬০ জন কৃষককে শুধুমাত্র ফলোআপ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে চলতি ইরিবোরো মৌসুমে উপজেলার কৃষক পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল, হাইব্রিড ও স্হানীয় প্রজাতির ধানের বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।
তার মধ্যে ৪হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করা হবে। জাতগুলো হলো ব্রী-ধান ২৮, ২৯, ৪৫, ৫৮, ৬৪, ৭৪, ৮৯, ৯২, ১০০, ১০৩ বিনা ২৫ অন্যতম। হাইব্রিড প্রজাতির মধ্যে রয়েছে এসএল ৮এইচ, ময়না, টিয়া, ব্রী-হাইব্রিড-৮ অন্যতম। এ বছর ১২৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড প্রজাতির ধান চাষ হবে। তাছাড়া পুরো উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে স্হানীয় জাতের ধান চাষ করা হবে। তার মধ্যে অন্যতম প্রজাতি হলো খৈয়া ও আয়নামিয়া। উপজেলার চিকনাগোল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক আতাউর রহমান বলেন চলতি মৌসুমে ৩৩ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রী ধান- ৯২ এর বীজতলা তৈরী করেছেন। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনার আওতায় তিনি সার,বীজ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ফ্রীপ প্রকল্পের আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জৈন্তাপুরের বাস্তবায়নে কৃষক পর্যায়ে বোরো ধানের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আশা করা যায় আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি ইরিবোরো মৌসুমে উপজেলার আমন ধানের মত ইরিবোরো ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদব্যাক্ত করেছেন।