প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৭:২৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৫, ১০:৪১ এ.এম
জৈন্তাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরুদের জের ধরে ঘুমন্ত পরিবারের উপর হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর , আহত ৪, আসবাবপত্র সহ নগদ টাকা লুট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের হুমকী
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরুদের জের ধরে ঘুমন্ত পরিবারের উপর হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর, নগদ টাকা সহ ঘরের আসবাবপত্র লুট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের হুমকী দিয়েছে ভূমি খেকু চক্রের সদস্য আব্দুল মতিন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় জৈন্তাপুর উপজেলা জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রী গ্রামে ঘুমন্ত পরিবারের উপর হামলা চালায় ভূমি খেকু পরিবারের সদস্য আব্দুল মতিন বাহিনী। ঐ হামলায় ৪জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন কেন্দ্রী গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৩০), নুনু মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০), নুনু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (১৩), মৃত আনছার মিয়ার স্ত্রী আজিরুন নেছা (৩৫)। এই ঘটনায় আমিরুন নেছা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে একই পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন হতে বিরুধ চলে আসছে। এনিয়ে ঐ পর্যন্ত তিনবার পরিবারের উপর হামলা চালায় ভুমি খেকু চক্রের সদস্য কেন্দ্রী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল মতিন (৪৫), আব্দুল মতিনের ছেলে রায়হান আহমদ (২০), জুবেল আহমদ (৪৫), মৃত আবুল কালামের ছেলে রুবেল আহমদ (২২), রইছ উদ্দিনের ছেলে ছইফুল ইসলাম (৩০), আব্দুল মতিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৬) সহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নিয়ে রাত ২টায় হামলা করে। হামলায় বাড়ী ঘর ভাঙচুর চালায়, এবং আসবাবপত্র সহ নগদ টাকা পয়সা লুট করে নেন। বর্তমানে তাদের একটি ছোট মুদির দোকান দখলের হুমকী দিয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানান ইতেপূর্বে জমি সংক্রান্তের জের নিরহি পরিবারের উপর দুইবার হামলা চালায় আব্দুল মতিনরা। তাদের বিরুদ্ধে অসহায় পরিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা ক্যাম্প জৈন্তাপুরে অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত পরিবারের উপর হামলা করেছে। বর্তমানে নিরিহ পরিবারের একটি ছোট মুদির দোকান রয়েছে সেটি দখলের হুমকী দিয়ে আসছে।
ঘুমন্ত পরিবারের উপর হামলার চিৎকার পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়েে এসে হামলাকারীদের কবল হতে আহতদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহতরা সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রাতের অন্ধকারে ঘুমের মধ্যে শিশু, বুড়া ও যুবতী মহিলা কেউই বাদ যায়নি, ইচ্ছামতে মারধর করেছে। ঘর দোয়ার ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত পূর্বক ন্যাক্কার জনক ঘটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ২১শে ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে হামলার ঘটনায় আহতরা জৈন্তাপুর মডেল থানায় এসেছে। আমি দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তাদের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আহনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত